ঢাকা , রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ , ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​কুষ্টিয়ায় ৮ দেশের শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো আর্ট ক্যাম্প

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০২-০১-২০২৫ ০৩:৫৭:৪১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০২-০১-২০২৫ ০৩:৫৭:৪১ অপরাহ্ন
​কুষ্টিয়ায় ৮ দেশের শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো আর্ট ক্যাম্প ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
ক্র্যাক আর্ট ক্যাম্পের ১৮তম আন্তর্জাতিক আসর শেষ হলো কুষ্টিয়ার রহিম মৎস্য হ্যাচারিতে। চিত্রশিল্পী, সংগীতশিল্পী, চলচ্চিত্র কর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মাধ্যমের মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এই মাল্টিডিসিপ্লিনারি আর্ট ক্যাম্পে।

ক্র্যাক আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পের ১৮তম আসরে বাংলাদেশসহ ৮টি দেশের শিল্পীরা অংশ নিয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন আর্জেন্টিনার ফিলিপে আলভারেজ, অস্ট্রিয়ার উরসুলা মারিয়া প্রবস্ট, যুক্তরাষ্ট্রের ইশরাত নূর কোরেশী, তুরস্কের আয়কা ওকায়, নেপালের সাগুন থাপা, ওম প্রকাশ শ্রীজ ও মানু কুমার চৌধুরী, ভারতের আসিফ হানিফ শাহ, শ্রীপর্ণা ও পরমেশ জলাদ। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ছিলেন কিরীটি সাহা, সাদিয়া খালিদ রীতি, ফারজানা আহমেদ উর্মি, মাহবুবা মেহজাবিন হাসান, তানভীর আহমেদ জয়, মো. খায়রুল হাসান, মো. ফারিয়াজ ইমরান, পুলক সরকার, তানজিমা খানম, এস এম সায়েম হোসেন, পলি লায়লা, কাউসার মিয়া প্রমুখ। এবারের আর্ট ক্যাম্পের কিউরেটরের দায়িত্ব পালন করেছেন পাকিস্তানের শিল্পী ইমরান নাফিস সিদ্দিকী। 

ক্র্যাক আর্ট ক্যাম্পের সহউদ্যোক্তা শাওন আকন্দ জানান, ‘বাউল দর্শনের যে সহজিয়া ভাব, সমন্বয়বাদিতা এবং উদারতার জায়গা আছে, ক্র্যাক আর্ট ক্যাম্পের জন্ম হয়েছিল সেগুলোকে কেন্দ্র করে। আমরা চেয়েছিলাম কর্পোরেট পৃথিবীতে আমাদের নিজেদের জ্ঞান অন্বেষণ করতে। এখানে সব শিল্পী স্থানীয় উপকরণে শিল্প নির্মাণ করেন।’

ক্র্যাক ট্রাস্টের সদস্য শিল্পী কনক আদিত্য জানান, ‘শিল্প সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভৌগোলিক কোনও সীমারেখা নেই। ফলে আমরা পৃথিবীর সব দেশের শিল্পীদের স্বাগত জানাই। কলোনিয়াল জ্ঞানের বাইরে আমাদের নিজস্ব জ্ঞান খোঁজা ও চর্চার জন্যই এ আর্ট ক্যাম্পের যাত্রা।’

এবারের আর্ট ক্যাম্পের কিউরেটর পাকিস্তানের শিল্পী ইমরান নাফিস সিদ্দিকী বলেন, ‘১২ বছর আগে প্রথম এ ক্যাম্পে এসে যে পরিবেশের মুখোমুখি হয়েছিলাম এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেই সুর একই আছে। এই আর্ট ক্যাম্প যেমন আছে তেমনি থাকা জরুরি। শুধু প্রতি বছরের কার্যক্রমে বৈচিত্র্য আনা যেতে পারে।’

পাঁচ দিনের এ ক্যাম্পে শিল্পীরা পারফরমেন্স, ইনস্টলেশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিল্প সৃষ্টি করেছিলেন স্থানীয় উপকরণ ব্যাবহার করে।২৫ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এ ক্যাম্প শেষ হয় ৩০ ডিসেম্বর। সমাপনী দিনে ক্যাম্পটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
২০০৭ সালে এ আর্টক্যাম্প সূচনা হয় শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দের উদ্যোগে এবং শিল্পী দেলোয়ার হোসেনের পৃষ্ঠপোষকতায়। ২০১০ সাল থেকে ক্র্যাকের ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে। গত ১৭ বছরে এ আর্ট ক্যাম্পে অংশ নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, আফগানিস্তান, নেদারল্যান্ডসসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মাধ্যমের শতাধিক শিল্পী।
 
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ